বালাগঞ্জ প্রতিনিধি :: বালাগঞ্জ উপজেলার হামছাপুর, কালিয়ারগাঁও ও করচারপাড় এলাকায় আকস্মিক মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে আনুমানিক ৪ লক্ষ টাকা মূল্যের অবৈধ জাল জব্দ করে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মারিয়া হকের নেতৃত্বে এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।
হাওর অঞ্চলে দেশীয় প্রজাতির ছোট মাছ রক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সোমবার উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য দপ্তরের বাস্তবায়নে সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অভিযানে আনুমানিক ৪ লক্ষ টাকা মূল্যের অবৈধ চায়না দুয়ারী (ম্যাজিক), মশারী (কাপড়ী) জাল ও কারেন্ট জাল জব্দ করে জনতার সামনে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়। অভিযান পরিচালনার সময় উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জুয়েল আহমদ, জ্যেষ্ঠ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নির্মল চন্দ্র বনিক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও বালাগঞ্জ থানার এসআই আব্দুল আহাদের নেতৃত্বে বালাগঞ্জ থানার একদল পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
জনসম্মুখে জাল পোড়ানোর সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জুয়েল আহমদ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সঞ্জয় চক্রবর্তী, উপজেলা প্রেসক্লাবের কার্যকরি সদস্য রজত চন্দ্র দাস ভূলন, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা উৎপল চক্রবর্তীসহ স্থানীয় গন্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ।
অভিযান শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মারিয়া হক বলেন, বালাগঞ্জ উপজেলার পূর্ব পৈলনপুর ইউনিয়নের হামছাপুর এলাকা ও বালাগঞ্জ সদর ইউনিয়নের কালিয়ারগাঁও, করচারপাড়সহ আশপাশের এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অবৈধ জালগুলো জব্দ করে জনসম্মুখে পুড়ে বিনষ্ট করা হয়। অবৈধ জাল দিয়ে ছোট মাছের পোনা ও মা মাছ ধরে ফেললে মাছের সংকট এবং আমিষের ঘাটতি দেখা দেবে।
প্রসঙ্গত, চলমান বন্যায় ভেসে গেছে ১ হাজার ২০০ পুকুর, দিঘি ও মৎস্য খামার। আনুমানিক ক্ষতির পরিমাণ ৫ কোটি টাকারও অধিক। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ছোট মাছ না ধরার জন্য মাইকিং করে প্রচার-প্রচারণা করা হয়। জেলেসহ সাধারণ মানুষ ও গন্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গকে সাথে নিয়ে দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষার জন্য মতবিনিময় করা হয়েছে এবং সতর্কতামূলক লিফলেট বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
এর আগে গত সপ্তাহে মোবাইল কোর্টের অভিযান পরিচালনা করে আনুমানিক ৫ লক্ষ টাকার অবৈধ জাল পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।
Leave a Reply