শান্তিগঞ্জ প্রতিনিধি :: ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শেষ ধাপে চমক দেখিয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছিলেন সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের ছেলে, অর্থনীতিবিদ সাদাত মান্নান অভি।
রবিবার দুপুরে সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে মা-বাবার উপস্থিতিতে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন তিনি। তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান সিলেট বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ সিদ্দকী।
এসময় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের শেষ ধাপে নির্বাচিত শান্তিগঞ্জ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন জাকির, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রফিকা মহিরসহ সিলেট বিভাগের আরও ৭ উপজেলার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানগণ শপথ গ্রহণ করেন।
জানা যায়, শপথ গ্রহণের উদ্দেশ্যে রবিবার সকাল ৯টায় শান্তিগঞ্জের হিজলবাড়ি থেকে বের হন ‘ক্লিন ইমেজের’ নয়া চেয়ারম্যান অভি। দুপুর ১২টায় সকলের সাথে শপথবাক্য পাঠ করেন তিনি। শপথ গ্রহণের সময় উপস্থিত ছিলেন সাদাত মান্নান অভির বাবা সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি, মা জুলেখা মান্নান, বোন সারা মান্নান হোসাইন, ভগ্নিপতি ইঞ্জিনিয়ার একেএম মোয়াজ্জেম হোসাইন ও ভাগ্নে শ্রেয়াস হোসাইন।
নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সাদাত মান্নান অভি অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, মা-বাবার উপস্থিতিতে শপথ গ্রহণ করতে পেরে আমার খুবই ভালো লাগছে। এ বিজয় আমার না, শান্তিগঞ্জ উপজেলার সর্বসাধারণের। যে আশা নিয়ে শান্তিগঞ্জের সাধারণ মানুষ আমাকে ভোট ভালোবাসায় ভাসিয়েছেন, আমি তাঁদের সকলের কাছে কৃতজ্ঞ। সবাইকে নিয়ে উপজেলার উন্নয়নে কাজ করতে চাই। সকলের সহযোগিতা চাই। আমার বাবা আমার অনুপ্রেরণা। বাবা-মা, বোন-ভগ্নিপতি ছিলেন শপথ অনুষ্ঠানে।
সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি বলেন, আমার ছেলে আজ শপথ নিয়েছে। বাবা হিসেবে এটা আমার কাছে অনেক আনন্দের। আমি খুবই আপ্লুত। আমার ছেলের শপথ অনুষ্ঠানটি খুব কাছে থেকে বসে দেখেছি। শান্তিগঞ্জ উপজেলাবাসী তাঁদের যোগ্য একজন নেতা নির্বাচন করেছেন। এজন্য তাঁদেরকে ধন্যবাদ। আমার বিশ্বাস অভি খুব ভালো কাজ করতে পারবে। সে সব কিছু জানে। মানুষের প্রত্যাশা পূরণের সক্ষমতা আছে তার। আমিও তাকে সহযোগিতা করবো। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে অভি খুবই সৎ ও কমিটেড। উপজেলাবাসী তার দ্বারা উপকৃত হবেন। তাকে নির্বাচিত করায় উপজেলাবাসীকে ধন্যবাদ।
উল্লেখ্য, গত ৫ জুন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের শেষ ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী, সুনামগঞ্জ সদর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালামের (মোটরসাইকেল) চেয়ে ২১ হাজার ৭৩২ ভোট বেশি পেয়ে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছিলেন সাদাত মান্নান অভি (আনারস)। উপজেলার ১৫৫টি গ্রামের ৫৬ কেন্দ্রে অভি মোট ভোট পেয়েছিলেন ৪০ হাজার ৯৮৭টি। আবুল কালাম পেয়েছিলেন ১৯ হাজার ২৫৫টি ভোট।
অপরদিকে, তিন প্রতিদ্বন্দ্বীকে পেছনে ফেলে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন ‘গরিবের প্রার্থী’ খ্যাত মোশাররফ হোসেন জাকির (মাইক)। তিনি পেয়েছিলেন ৩৪ হাজার ৩ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রোকনুজ্জামান রুকন (চশমা) পেয়েছিলেন ২০ হাজার ৬৯টি ভোট। আর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রফিকা মহির (ফুটবল) ২৩ হাজার ৪৩৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
Leave a Reply