শান্তিগঞ্জ প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার পূর্ব পাগলা ইউনিয়নের ঘোড়াডুম্বুর গ্রামে সংঘর্ষের পাঁচ দিন পর গুরুতর আহত এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
নিহত যুবকের নাম জুনু মিয়া (৩২)। তিনি ঘোড়াডুম্বুর (ফকিরবাড়ি) গ্রামের মৃত আবদুল বাহারের ছেলে।
শান্তিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজি মুক্তাদির হোসেন জুনু মিয়ার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৫ ডিসেম্বর সকালে ঘোড়াডুম্বুর গ্রামের ছয়গোষ্ঠী ও হাজিরগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। জমি সংক্রান্ত বিরোধের এ সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হন। গুরুতর আহত হন বেশ কয়েকজন। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন জুনু মিয়া। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। মঙ্গলবার উন্নত চিকিৎসার জন্য জুনু মিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন ওসমানী হাসপাতালের ডাক্তাররা। সেখানে ভর্তি করার পর বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন জুনু। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও দুই শিশুকন্যা রেখে গেছেন।
ছয় গোষ্ঠীর পক্ষে মো. নূর মিয়া বলেন, আমি নিজেও আহত। ঘটনার দিন জুনু মিয়া গুলিবিদ্ধ হয়েছে। কপালে দুটি, মাথার এক সাইডে একটি শর্টগানের গুলি ছিল। ঢাকার ডাক্তাররা আমাদের বলেছেন মাথায় শর্টগানের গুলি আছে। ঘটনার পর পর চারটি বন্দুক দিয়ে আমাদের ওপর হামলার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেছিলাম। আমাদের পক্ষের জুনু মিয়া সংঘর্ষের ঘটনায় মারা যাওয়ায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি। জুনুর লাশ আজ (গতকাল) বাড়িতে আসবে। আগামীকাল জানাজা ও দাফন হবে।
শান্তিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী মুক্তাদির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় আহত একজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শান্তিগঞ্জ-জগন্নাথপুর থানার সার্কেল স্যারসহ আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাচ্ছি। ময়নাতদন্তের পর প্রতিবেদন দেখে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। দোষীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
Leave a Reply