জগন্নাথপুর প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে শিশুদের ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় জগন্নাথপুর উপজেলার কুবাজপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফুটবল খেলার সময় ঝগড়া করায় রানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য প্যানেল চেয়ারম্যান মিলাদ আহমেদ শিশুদের শাসন করছিলেন। এ ঘটনা নিয়ে কুবাজপুর গ্রামের ঐয়ার মিয়া ও মিলাদ আহমদের লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
এলাকাবাসী জানান, মঙ্গলবার সকালে ঐয়ার মিয়ার পক্ষের লোকজন দলবল নিয়ে মিলাদ মেম্বারের বাড়িতে হামলা চালান। এ নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয়। হাতাহাতির খবর ছড়িয়ে পড়লে দুইপক্ষের লোকজন লাঠিসোঁটা, রামদা, ছুরি, টেঁটা, বল্লমসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। জগন্নাথপুর সার্কেলের এএসপি শুভাশিস ধর ও জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিরা হলেন- মিলাদ আহমেদ (৩৮), ফারহাদ মিয়া (৪৮), ইজ্জদ আলী (৪৫), ইছুব আলী (৩৫), হাসান মিয়া (২২), গোলাপ মিয়া (৩৮), মাজেদা বেগম (২২), খেলা বেগম (৪০), শিলা বেগম (৪৫) সহ আরও কয়েকজন। এর মধ্যে গুরুতর আহত কয়েকজনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
সংঘর্ষে আহত ইউপি সদস্য মিলাদ আহমেদ বলেন, আমি ছোট শিশুদের ফুটবল খেলার সময় ঝগড়া বাঁধায় তাদের শাসন করেছিলাম। এর জের ধরে ঐয়ার মিয়ার লোকজন আমার বাড়িতে হামলা চালায়।
এ বিষয়ে জানতে ঐয়ার মিয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষের ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কোনো পক্ষই মামলা করেনি।
Leave a Reply