জৈন্তাপুর প্রতিনিধি :: প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে এগিয়ে চলা বাংলাদেশের ধারাবাহিক উন্নয়ন দেশের একটি মহলের সহ্য হয় না। এই কারণে শেখ হাসিনার হাত ধরে চলা ধারাবাহিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে সেই মহলটি অপপ্রচারের তৎপর।
তিনি বলেন, এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করা ও ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর দিকে নজর রাখা। অপপ্রচার সৃষ্টিকারীরা সকল কিছুতে ব্যর্থ হয়ে এখন আসন্ন নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে মানুষের ভেতরে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে মরিয়া। সেজন্য আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণের দিন পর্যন্ত তৃণমূল পর্যায়ে সকল পুরুষ-মহিলা নেতৃবৃন্দ বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে শেখ হাসিনার উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরাসহ ভোটারদের সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটকেন্দ্রে আনার কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
মঙ্গলবার জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বেলা ১১টায় উপজেলা সড়ক ও জনপদ ডাকবাংলো প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভায় তিনি আরও বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের ওপর পূর্ণ আস্থা রেখেছিলাম। তিনি সিলেট-৪ আসনে ৮ম বারের মতো আমাকে মনোনয়ন দিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব অর্পণ করেছেন।
তিনি বলেন, একটা সময় জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জের উন্নয়নে চ্যালেঞ্জ ছিল ফুটব্রিজ কালভার্ট নির্মাণ শতভাগ সম্পন্ন করা। এখন আমরা গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের মতো উন্নয়নের শিখরে আরোহন করেছি।
আগামীতে পুনরায় নির্বাচিত হলে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখাসহ অন্যান্য অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করা হবে। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না ২০০১ সালের কথা। সেই সময় আওয়ামী লীগের অনেক প্রকল্প ফুটব্রিজ, কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রকল্প তৎকালীন সরকার বাতিল করে উন্নয়ন কাজ ব্যাহত করেছিল। এখন শেখ হাসিনার হাত ধরে সে দুঃশাসন থেকে আমরা ফিরে আসতে সক্ষম হয়েছি।
সভায় জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদের সভাপতিত্বে এবং প্রচার সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ও উপ-দপ্তর সম্পাদক জাকারিয়া মাহমুদের যৌথ পরিচালানায় আরও বক্তব্য দেন জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম লিয়াকত আলী।
এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা যাদবময় বিশ্বাস, আলাউদ্দিন, এ টি এম বদরুল ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুহিবুর রহমান মেম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহেদ আহমেদ, জালাল উদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক হানিফ মোহাম্মদ, নিপেন্দ্র কুমার দে, আব্দুর রাজ্জার রাজা, ৫ নম্বর ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক আহমেদ, ৬নং চিকনাগুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামারুজ্জামান চৌধুরী প্রমুখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক হাসিনুল হক হুসনু, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক জহির রায়হান, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল হক, ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক জালাল উদ্দীন মেম্বার, শ্রমিক লীগের সভাপতি ফারুখ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, কৃষকলীগের আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান, যুবলীগের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক কুতুবউদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মঞ্জুর এলাহী সম্রাট সাধারণ সম্পাদক ইমাম উদ্দিন, কৃষকলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক কয়সর আহমেদ, মৎস্যজীবী লীগ নেতা নাজিম কামরান ও সদস্য সচিব লোলিত রাম দাস।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, ৫নং ফতেপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হেলাল উদ্দিন, ফতেপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আজিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালিক মহালদার, কৃষকলীগের সভাপতি নিজাম উদ্দিন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মাষ্টার আব্দুল জলিল, সেলিম আহমদ চৌধুরী, আবুল কাশেম মারুফ, আনোয়ার হোসেন, আবুল হাসনাত চৌধুরী, হেলাল আহমেদসহ উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
Leave a Reply