নিজস্ব প্রতিবেদক : গত পাঁচই আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকেই সিলেট মহানগর এবং জেলা আওয়ামী লীগের প্রথম সারির নেতারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন যেখানে কেউ কেউ আশ্রয় নিয়েছেন ভারতে আবার ভিসা থাকায় আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা যুক্তরাজ্য যুক্তরাষ্ট্র সহ মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশে পাড়ি জমিয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে প্রথম সারির প্রভাবশালি নেতারা পালিয়ে গেলেও দেশ ছাড়েননি দলটির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। জানা যায় বিভিন্ন মামলার তালিকায় নাম থাকার ফলে আত্নগোপনে রয়েছেন আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের শতাধিক নেতাকর্মী।
সিলেট জেলা ও মহানগর সহ বিভিন্ন উপজেলার কয়েকশো নেতাকর্মীর সংসারের অবস্থা করুন। অনেকের সংসারের চুলো জ্বালানো এখন স্বপ্নে পরিণত হয়েছে। আত্নগোপনে থাকা সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের এক কর্মী বলেন, দলের মিছিলে লোক দেখানোর জন্য আমাদের প্রয়োজন হতো এখন তারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন আমরা মামলা খেলে কেউ আমাদের খোঁজ পর্যন্ত রাখছেন না আমাদের যাওয়ার যায়গা নেই।
সিলেটের জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের এক নেতা আক্ষেপ নিয়ে বলেন, দলের সবার সাথেই সব সময় মিলে মিশে রাজনীতি করেছি কিন্তু সরকার পরিবর্তনের পর কেউ এখন পর্যন্ত কোনো যোগাযোগই রাখেনি।তৃনমূলে এখন শুধুই হতাশা।
এদিকে পাঁচই আগস্টের পর থেকে সিলেট জেলার বিভিন্ন উপজেলার আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠন গুলোর কিছু সংখ্যক নেতাকর্মীদের দেখা গেলেও মামলা হবার পর আত্নগোপন রয়েছেন তারা। দলের এমন খারাপ সময়ে পরিবার পরিজন নিয়ে অভাবে অনেকটা হতাশ আওয়ামী লীগের তৃণমূল।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের খারাপ সময়ে দলীয় কোনো নেতা মুখে তালা দিয়ে রাখলেও অবশেষে গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছে মৌলভীবাজারের সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল তিনি বলেন, আজ যারা এ দেশে শত শত পুলিশকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে, সরকারি সম্পত্তি দখল এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা করে ইনডেমনিটি দিয়ে নিজেদের রক্ষার স্বপ্ন দেখছে, তাদের ১৫ আগস্টের পর ইনডেমনিটির কথা মনে করিয়ে দিচ্ছি। ইতিহাস থেকে আমরা কেউ শিক্ষা নিই না
Leave a Reply