জগন্নাথপুর প্রতিনিধি :: প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে পরিচিত সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জে জমে উঠতে শুরু করেছে কোরবানির পশুর হাট। সেখানে ‘মহারাজা’, ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড’ আর ‘জায়েদ খান’ নামের তিনটি বিশালদেহী ষাঁড় নজর কাড়ছে ক্রেতাদের। সরেজমিনে রানীগঞ্জ বাজার পশুর হাট ঘুরে এ দৃশ্য দেখা গেছে।
হাটে বিশাল আকৃতির হালকা লাল-বাদামি রঙের ‘মহারাজা’ নামের ষাঁড়টির দাম হাঁকানো হচ্ছে ৭ লাখ টাকা। অন্যদিকে কালো রঙের ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড’ ষাঁড়টির দাম চাওয়া হচ্ছে সাড়ে ৬ লাখ টাকা আর সাদা-কালো ‘জায়েদ খান’ এর ষাঁড়ের দাম ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। এর মধ্যে অনেক ক্রেতা ষাঁড়গুলোর দর-দাম করতে দেখা গেছে। ন্যায্যমূল্য পেলে ষাঁড় তিনটি বিক্রি করে দেবেন বলে জানান এগুলোর মালিকেরা।
‘মহারাজা’র মালিক রানীগঞ্জ ইউনিয়নের নারকেলতলা গ্রামের মঠাই মিয়া বলেন, ফিজিয়ান জাতের বাছুর দুই বছর আগে কিনেছিলাম। ষাঁড়টির নাম ভালোবেসে রাখা হয়েছে ‘মহারাজা’। প্রথমবারের মতো হাটে তোলা হয়েছে ষাঁড়টিকে। ১৮ মণ ওজনের ষাঁড়টির দাম চাওয়া হচ্ছে ৭ লাখ টাকা। তবে দর-দাম করার সুযোগ রয়েছে।
‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড’ এর মালিক রানীগঞ্জ ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের সাদাত মিয়া বলেন, আমার খামারে ৪০টির মতো গরু আছে। এর মধ্যে ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড’ নামের ষাঁড়টি আমার খুবই প্রিয়। ন্যায্যমূল্য পেলে বিক্রি করে দেবো। ক্রেতাদের সাথে দর-দাম হচ্ছে।
‘জায়েদ খান’ নামের ষাঁড়ের মালিক নবীগঞ্জের কাজির বাজারের বাসিন্দা। তিনি বলেন, এই ষাঁড়কে বাছুর থেকে ৩ বছর লালন-পালন করেছি। ষাঁড়টি দেখতে সুন্দর আর খুবই মোটাতাজা। তাই নাম দিয়েছি ‘জায়েদ খান’। ষাঁড়ের ন্যায্য দাম পেলে বিক্রি করে দেবো।
রানীগঞ্জ পশুর হাটের ইজারাদার চাঁন মিয়া বলেন, হাটে প্রচুর গবাদিপশু উঠেছে। তবে ক্রেতা কম বৃষ্টি ও বন্যার কারণে। ঈদের দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে জমে উঠবে হাট। আবার বৃহস্পতিবার ও রবিবার আমাদের পশুর হাট বসবে। সবাই আসবে বলে আমি আশাবাদী। প্রতি বছরের মতো এবারও গরুপ্রতি ৭০০ টাকা ও ছাগলপ্রতি ৩০০ টাকা হাসিল আদায় করা হচ্ছে। দেশি জাতের গরু-ছাগল বেশি বিক্রি হচ্ছে। তবে বিক্রেতার সংখ্যা বেশি থাকলেও ক্রেতার সংখ্যা কম।
Leave a Reply