বানিয়াচং ও মাধবপুর প্রতিনিধি :: প্রতীক পেয়েই নির্বাচনের মাঠে জমজমাট প্রচারে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন হবিগঞ্জ-২ ও ৪ আসনের নৌকা ও ঈগল প্রতীকের প্রার্থীরা। দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতীক পেয়ে প্রচারে নেমেছেন হবিগঞ্জ-২ আসনের নৌকার প্রার্থী ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েল এবং ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মজিদ খান।
জানা গেছে, স্থানীয় পর্যায়ে এ দুই প্রার্থী ছাড়া অন্যদের দৃশ্যমান প্রচার নেই। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে আওয়ামী লীগ। কৌশলেও এসেছে নতুনত্ব। এবার প্রতিটি আসনে নৌকার প্রার্থীর পাশাপাশি বিকল্প প্রার্থী রাখা হয়েছে। তারা নির্বাচন করবেন স্বতন্ত্র হিসেবে।
বানিয়াচং ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত হবিগঞ্জ-২ আসনে নবীন-প্রবীণের প্রচারযুদ্ধে নির্বাচনী হাওয়া বইছে। দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে নির্বাচনে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েল। অন্যদিকে এ আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান এমপি আবদুল মজিদ খান দলীয় টিকিট না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন ঈগল প্রতীকে।
এদিকে প্রচারে মাঠ গরম করছেন মাধবপুর-চুনারুঘাট আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহবুব আলী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সায়েদুল হক সুমন ও তাদের সমর্থকরা। পেশায় আইনজীবী এই দুই প্রার্থীই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। প্রবীণ নেতা মাহবুব আলীকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে তাঁর বিরুদ্ধে মাঠে আছেন জনপ্রিয় তরুণ নেতা সায়েদুল হক সুমন।
মাধবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান জানান, এ আসনে সবসময় নৌকার প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। এবারও নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করতে দলীয়প্রধানের নির্দেশে নেতাকর্মীরা মাঠে নেমেছেন।
চুনারুঘাট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আলী জানান, চুনারুঘাটে ছোটবড় ১৭টি চা বাগান আওয়ামী লীগের শক্তিশালী ঘাঁটি। এখানে নৌকার বিজয়ে আত্মবিশ্বাসী সবাই।
এদিকে তরুণ প্রজন্মের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠা সায়েদুল হক সুমন ঈগল পাখি প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী প্রচার জমিয়ে তুলেছেন। সুমনের সমর্থক সম্রাট আহমেদ জানান, এবারের নির্বাচনে পরিবর্তন আনতে হবে। প্রতীক ভিন্ন হলেও সুমন আওয়ামী লীগ আদর্শের প্রার্থী।
Leave a Reply