নিজস্ব প্রতিবেদক :: নগরীর শেখঘাট এলাকা থেকে এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার রাতে স্বামীর বাড়ি থেকে পপি বেগম (২২) নামে ওই তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
দুই মাস আগে বিয়ে হয়েছিল পপির। পরিবারের অভিযোগ, স্বামীর নির্যাতনে মৃত্যু হয়েছে পপির। এ ঘটনায় স্বামী ও ভাসুরকে আটক করেছে কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ।
মারা যাওয়া পপি বেগম শাহপরাণ থানাধীন মেজরটিলা শ্যামলী আবাসিক এলাকায় অলফু মিয়ার মেয়ে। তিনি তার স্বামী মিঠন মিয়ার সাথে শেখঘাট এলাকার একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত ৮টার দিকে বসতঘরে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় পপিকে দেখতে পেয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান স্বামী মিঠন, ভাসুর সুহেল মিয়া এবং পপির ভগ্নীপতি। পরে হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক পপিকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে হাসপাতালে যান পপির বাবা ও আত্মীয়-স্বজন। পপির পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ ওঠে নির্যাতনে মৃত্যু হয়েছে তার।
এ ঘটনার পর পপির স্বামী মিঠন মিয়া ও ভাসুর সুহেল মিয়াকে আটক করেছে কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ। তবে ঘটনার পর থেকেই পপির ভগ্নীপতি নিখোঁজ রয়েছেন।
পপির বাবা অলফু মিয়ার অভিযোগ, আমার মেয়েকে নির্যাতন করা হতো। সোমবার আমাদের বাসায় ছিল সে। বিকেলে তার স্বামীর বাসায় যায় এবং রাতে আমার মেয়েকে মেরে ফেলা হয়।
সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে পপির স্বামী ও ভাসুরকে আটক করা করেছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
Leave a Reply